কুসংস্কারের উৎপত্তি ও প্রভাব
কুসংস্কার বা পূর্বসংস্কার কোনো জন্মগত প্রবণতা নয়। ব্যক্তি জন্মের পর তার পারিপার্শ্বিক অবস্থা থেকে পূর্বসংস্কার গ্রহণ করে। সাধারণভাবে জাতিগত, ধর্মগত বা সংখ্যাগতভাবে ভিন্ন কোনো সম্প্রদায়ের সদস্যদের প্রতি বিদ্বেষ বা পক্ষপাতমূলক মনোভাবকে পূর্বসংস্কার (Prejudice) বলা হয়।
সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতি সংখ্যাগরিষ্ঠদের নেতিবাচক মনোভাব বা বহির্দলের প্রতি অন্তর্দলের সদস্যদের বিরূপ প্রতিক্রিয়াকে সচরাচর পূর্বসংস্কার রূপে চিহ্নিত করা হয়ে থাকে।
'Prejudice' (পূর্বসংস্কার) শব্দটির আর একটি সমার্থক শব্দ হচ্ছে Prejudgment (পূর্বসিদ্ধান্ত)। কোনো বিষয় তথ্যের নিরিখে বিশ্লেষণ বা যাচাই না-করে সে বিষয়ে পূর্বেই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা বা রায় দেওয়াকে পূর্বসংস্কার বলে। সে অর্থে পূর্বসংস্কারকে পক্ষপাতদুষ্ট ধারণাও বলা যায়।
Newcomb (1961)-এর মতে,
'পূর্বসংস্কার হচ্ছে এক প্রকার প্রতিকূল মনোভাব এবং পূর্ব প্রবণতা যা কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর প্রতি ব্যক্তিকে তার প্রত্যক্ষণ, আচরণ, চিন্তা এবং অনুভূতির ক্ষেত্রে অনুকূল করার পরিবর্তে প্রতিকূক্ল করে তোলে।'
যুক্তরাষ্ট্রে নিগ্রো ও শ্বেতাঙ্গদের মধ্যে বর্ণ সম্বন্ধীয় পূর্বসংস্থার সর্বজন-বিদিত। বাংলাদেশে এ ধরনের জোরালো কোনো জাতিগত পূর্বসংস্কার না-থাকলেও ছোটোখাটো নানা ধরনের পূর্বসংস্কার রয়েছে; যেমন-কোনো বিশেষ জেলার অধিবাসীদের প্রতি পার্শ্ববর্তী অন্যান্য জেলার লোকজনের নেতিবাচক মনোভাব, ঝাড়ুদার, মেথর প্রভৃতি পেশাজীবীর প্রতি অপেক্ষাকৃত উঁচুস্তরের পেশাজীবীদের পার্থক্যসূচক আচরণ প্রভৃতি পূর্বসংস্কারের দৃষ্টান্ত। অতএব বলা যায়, পূর্বসংস্কার কোনো বিশেষ বৈশিষ্ট্যের অধিকারী গোষ্ঠীর প্রতি অসম বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত গোষ্ঠীর লোকদের পক্ষপাতমূলক মনোভাব; যা তাদের প্রত্যক্ষণ, চিন্তন, আবেগ, অনুভূতি এবং কাজের মাধ্যমে প্রকাশ পায়।
কুসংস্কারের উৎপত্তি ও প্রভাব
যে সকল উপায়ে ব্যক্তির মনে কুসংস্কারের জন্ম নেয় তা নিম্নে আলোচনা করা হলো-
১. পূর্বসংস্কার একটি অর্জিত বা শিক্ষালব্ধ মনোভাব:
অন্যান্য সকল মনোভাবের ন্যায় পূর্বসংস্কার শিক্ষালব্ধ। সামাজিকীকরণের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে সমাজজীবনে প্রচলিত বিভিন্ন পূর্বসংস্কার মানুষ তার বিভিন্ন সামাজিকীকরণ-মাধ্যমের সংস্পর্শে থেকে অর্জন করে থাকে; অর্থাৎ, পরিবার, বিদ্যালয় ও অন্যান্য সামাজিক দলের সদস্যদের সাথে আন্তঃক্রিয়ার মাধ্যমে ব্যক্তি তাদের কাছ থেকে অন্যান্য আচরণের মতো পূর্বসংস্কারও শিখে থাকে। কিন্তু কম তথ্যজ্ঞানসম্পন্ন ব্যক্তি মনে করেন যে, মানুষের মধ্যে এক ধরনের সহজাত প্রবৃত্তি রয়েছে যা কোনো বিশেষ দলের সদস্যদের প্রতি হিংসা অনুভূত করতে সাহায্য করে। সুতরাং ব্যক্তিবর্গের বিভিন্ন ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ার সময় পূর্বসংস্কার যে অর্জিত এর সপক্ষে তথ্য রয়েছে।
Clark & Clark (1947) মনে করেন যে, কয়েক মাসের শিশুরা বিভিন্ন ব্যক্তিবর্গের মধ্যে পার্থক্য নির্ণয় করতে পারে। এই ব্যক্তিরা যদি একই জাতীয় বা একই দলের হয়, তাহলেও তাদের মধ্যে এক ব্যক্তি থেকে অন্য ব্যক্তিকে পার্থক্য করতে পারে। তিন বছরের নিগ্রো শিশু নিগ্রো এবং সাদা পুতুলের পার্থক্য সাধারণভাবে করতে পারে। কিন্তু তারা অন্য কোনো দলের প্রতি কোনো পূর্বসংস্কার প্রদর্শন করে না। কিন্তু যখন তারা বড়ো হতে থাকে তখন পূর্বসংস্কারগুলো বিভিন্ন সুযোগের মাধ্যমে শেখে।
২. পূর্বসংস্কার শিক্ষণের ক্ষেত্রে মুখ্যদলের ভূমিকা:
সাধারণত মুখ্যদলের সদস্যরা পূর্বসংস্কার শিক্ষণে প্রধান ভূমিকা পালন করে। বিশেষ করে মা-বাবা শিশুর পূর্বসংস্কার বিকাশে বিশেষ প্রভাব বিস্তার করে থাকেন।
Allport and Kramer (1946) তাদের এক সমীক্ষায় দেখতে পান যে, কলেজের ছাত্রদের একটি নমুনার ৬৯% বলেছে যে, জাতিগত মনোভাব গঠনে তাদের মা-বাবার প্রভাবই তাদের উপর বেশি পড়েছে। মা-বাবা, আত্মীয়স্বজন কোনো একটি শ্রেণির লোকজনের সাথে কেমন ব্যবহার করছেন তা অবলোকন করে শিশু নিজের আচরণকে সে অনুযায়ী গঠন করে; অর্থাৎ, শিশু অনুকরণের মাধ্যমে প্রাথমিকভাবে পূর্বসংস্কার অর্জন করে। উদাহরণস্বরূপ, ঝাড়ুদার বা মেথরকে কোনো শিশুর মা যখন ছোঁয়া বাঁচিয়ে তাকে কোনো কিছু দেন বা ভিন্ন পাত্রে খাবার খেতে দেন তখন শিশু বুঝতে শেখে যে, সে তাদের থেকে ভিন্ন এবং শিশু মায়ের আচরণ অনুকরণ করে। পরবর্তীকালে একই শ্রেণির অন্যান্যদের প্রতিও শিশু অনুরূপ আচরণ করতে প্রবৃত্ত হয়।
৩. সামাজিক মানদণ্ড:
সমাজে প্রচলিত কিছু সামাজিক মানদণ্ড রয়েছে যা একটি দলের সকল সদস্যের মধ্যে প্রায় একই রকম প্রতিক্রিয়ার মাধ্যমে প্রকাশ পায়।
Bayton (1941) দেখেছেন যে, নিগ্রো ছাত্ররা নিগ্রোদের সম্পর্কে যে বদ্ধমূল ধারণ পোষণ করে, সাদা ছাত্ররা সাদাদের সম্পর্কে ঐ একই ধরনের ধারণা পোষণ করে। সাদা ছাত্ররা কিছু গুণাবলি তাদের নিজেদের দল সম্পর্কে পর পর প্রয়োগ করেছে, যেমন-কুসংস্কারাচ্ছন্ন, ধর্মপ্রাণ, সংগীতপ্রিয়, সুখী, ভাগ্যবান ইত্যাদি। এ ধরনের গুণাবলি নিগ্রো ছাত্ররাও তাদের নিজেদের লোকদের মানদণ্ড হিসেবে প্রয়োগ করে।
৪. ব্যক্তিত্ব ও পূর্বসংস্কার:
কতকগুলো বিশেষ ধরনের পূর্বসংস্কারের জন্য ব্যক্তিত্বই দায়ী। 'দুর্বোধ্যতার প্রতি অসহনশীলতা ব্যক্তিত্বের একটা গুরুত্বপূর্ণ দিক যা পূর্বসংস্কারের জন্ম দিয়ে থাকে। একটা দুর্বোধ্য পরিস্থিতির প্রতি ব্যক্তির আচরণ বিভিন্ন প্রকারের হতে পারে। কোনো ব্যক্তি দুর্বোধ্য বা অস্পষ্ট পরিস্থিতিতে খুবই অস্বস্তি বোধ করে এবং রীতিমতো বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে।
Adorno (1950) এর পরীক্ষণ থেকে দেখা যায়, দুর্বোধ্যতার প্রতি যারা কম সহনশীল তারা বেশি সংস্কারাচ্ছন্ন হয়। উদাহরণস্বরূপ, শহরে নিগ্রোদের আগমনকে কোনো বেকার শ্বেতাঙ্গ তার চাকরি না পাবার কারণ হিসেবে ধরে নিতে পারে। এতে করে নিগ্রোদের প্রতি তার পূর্বসংস্কারই বেড়ে যায়।
৫. পূর্বসংস্কারের উপাদান হিসেবে ব্যক্তিগত যোগাযোগ:
ব্যক্তিগত ঘটনার গুরুত্ব পূর্বসংস্কারের প্রধান উৎস হিসেবে কাজ করতে পারে। বিভিন্ন দল সম্পর্কে পূর্বসংস্কারের মাত্রা শুধু তাদের ব্যক্তিগত যোগাযোগের সুবিধা থেকে আসে এমন ধারণা ঠিক নয়। এটা যাদের সঙ্গে সংযোগ বেশি এবং যাদের সঙ্গে সংযোগ কম উভয় দল থেকেই আসে। ব্যক্তিগত যোগাযোগ যে পূর্বসংস্কার অর্জনের প্রধান কারণ নয় তার পক্ষে যুক্তি হলো সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে ব্যক্তির যে পূর্বসংস্কার রয়েছে তা পূর্ব থেকে তার মধ্যে বিরাজমান।
Lindzey and Rogolsky (1939) বলেন, একজন ব্যক্তি যার ইহুদির বিরুদ্ধে নেতিবাচক মনোভাব রয়েছে, তার ক্যাথোলিক সম্প্রদায়ের আচরণ এ জন্য যতটা দায়ী তার চেয়ে ব্যক্তির পূর্বসংস্কারাচ্ছন্ন চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যাবলি অধিক দায়ী।
৬. পূর্বসংস্কার ও কতিপয় অপছন্দনীয় বৈশিষ্ট্যাবলি:
ইহুদিরা চতুর, নিগ্রোরা অজ্ঞ-এই ধরনের বৈশিষ্ট্যাবলি বর্ণনায় কিছুটা সত্যতা রয়েছে। পূর্বসংস্কারাচ্ছন্ন ব্যক্তিবর্গ বর্ণনা করে যে, এ ধরনের প্রবণতা শারীরবৃত্তীয়ভাবে নির্ধারিত এবং সামাজিক পরিবেশ ও দলীয় আদর্শমান থেকেই তারা ঐ বৈশিষ্ট্যগুলো বিভিন্ন মাত্রায় অবমূল্যায়ন করেছে। একজন পূর্বসংস্কারের ধারণাপ্রাপ্ত ব্যক্তি ভুলে যায়, যে দলকে সে অপছন্দ করছে উক্ত বহির্দলের পরিবেশ নিজ দলীয় সদস্যদের দ্বারা চাপের সম্মুখীন হয়।
৭. ভূমিকা নির্দেশনায় পূর্বসংস্কারের সংযুক্তি:
অনেক পূর্বসংস্কার অন্যদলের প্রতি নিজ দলের সদস্যদের অংশগ্রহণে অর্জিত হয়। পূর্বসংস্কারাচ্ছন্ন আচরণ সাধারণত নিজদল এবং অন্যান্য দলের ভূমিকা নির্ধারণের সময় অর্জিত হয়। ফলে দলীয় মানদণ্ড অন্য একটি দলের সাথে সম্পর্ক স্থাপন পরিহার করে অথবা অন্যদলের সদস্যদের প্রতি সুস্পষ্ট হিংসা প্রকাশ করে।
Harowitz (1936) নিগ্রোদের প্রতি সাদা শিশুদের মনোভাব অনুধ্যান করেন। তিনি পূর্বসংস্কারের তিনটি মাপনি ব্যবহার করেন। তিনি বলেন, পূর্বসংস্কারের বিকাশ ক্রমশ কত দ্রুত বা বিলম্বে অর্জিত হয় তা বলা কঠিন।
৮. ভিন্ন দলের অনুভূতি ও পূর্বসংস্কার:
মানবচরিত্রের বৈশিষ্ট্যগত দিকের সাদৃশ্যের ভিত্তিতে কতকগুলো লোক নিজেদের একটা দলে অনুভব করে। একই সাথে তারা তাদের থেকে ভিন্ন বৈশিষ্ট্যের অধিকারী কতকগুলো লোককে ভিন্নদল হিসেবে চিহ্নিত করে। নিজদল ও ভিন্নদলের প্রতি অনুভূতি থেকে মানুষের মধ্যে সংস্কার জন্ম নিতে পারে। আমেরিকার শ্বেতাঙ্গ এবং নিগ্রোদের মধ্যে দীর্ঘদিন প্রভু-ভৃত্য সম্পর্ক থাকায় শ্বেতাঙ্গদের মধ্যে নিগ্রোদের প্রতি একটা সংস্কার গড়ে ওঠে।
৯. পারিপার্শ্বিক অবস্থা ও পূর্বসংস্কার:
পারিপার্শ্বিক অবস্থা সংস্কার অর্জনে ও সংস্কারাচ্ছন্ন মনোভাব গঠনে সাহায্য করে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগেও আমেরিকাতে নিগ্রো সৈনিক ও নাবিকদের আলাদা ইউনিটে রাখা হতো। আমেরিকার দক্ষিণ অঞ্চলের বহু জায়গায় এখনও কতকগুলো পার্ক, রেস্তোরাঁ, স্কুল শুধু শ্বেতাঙ্গদের জন্য সংরক্ষিত থাকে। এ সমস্ত • জায়গায় নিগ্রোদের প্রবেশ নিষেধ। এ ধরনের পারিপার্শ্বিক অবস্থা থেকে সেখানকার শ্বেতাঙ্গ ছেলেমেয়েদের মনে ছোটোবেলা থেকে নিগ্রোদের প্রতি সংস্কার জন্মে। এছাড়াও ছায়াছবি, টেলিভিশন, সাহিত্য প্রভৃতির মাধ্যমেও নিগ্রোদের প্রতি শ্বেতাঙ্গদের সংস্কার ফুটে ওঠে।
১০. হতাশা ও পূর্বসংস্কার:
Freud-এর পর্যালোচনা থেকে আমরা জানি যে, হতাশার একটা সাধারণ পরিণতি হচ্ছে আগ্রাসন; অর্থাৎ, মানুষ তার অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে ব্যর্থ হলে বা অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জনে বাধাপ্রাপ্ত হলে আগ্রাসী আচরণে লিপ্ত হয়। কিন্তু অনেক সময় বাস্তবতা বিবেচনা করে মানুষ হতাশার জন্য দায়ী ঘটনা বা বাধাদানকারী ব্যক্তির প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করতে পারে না। এক্ষেত্রে কোনো দুর্বল ব্যক্তি বা দলকে সবল ব্যক্তি Scape goat হিসেবে বেছে নেয় ও তার প্রতি আক্রমণাত্মক মনোভাব প্রকাশ করে।
১১. অর্থনৈতিক প্রতিযোগিতা ও পূর্বসংস্কার:
যেখানে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা খুব প্রকট এবং পদমর্যাদা লাভ খুব কঠিন ব্যাপার সেখানে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতি ঈর্ষা ও আগ্রাসন পরিচালিত হয়।
Tumin (1958) এ প্রসঙ্গে পর্যালোচনা করে দেখেন যে, আমেরিকার দক্ষিণ অঞ্চলের বেশিরভাগ পুরুষ সদস্য শ্বেতাঙ্গ-কৃষ্ণাঙ্গ অপৃথকীকরণের চরম বিরোধী। এর কারণ অর্থনৈতিক উন্নতি ও পদমর্যাদা লাভের ব্যাপারে নিগ্রোদের সাথে তাদের কঠোর প্রতিযোগিতায় অবতীর্ণ হতে হয় এবং চাকরি, আয়, শিক্ষার ক্ষেত্রে এ শ্বেতাঙ্গ লোকগুলোর স্থান সমাজের নিম্নস্তরে।
১২. ব্যক্তিত্ব ও দলীয় মানদণ্ড:
কৃষ্টিগত মানদণ্ড পূর্বসংস্কার বিকাশে যথেষ্ট সহায়ক। এছাড়া প্রভুত্বব্যঞ্জক ব্যক্তিত্ব বা মনোভাব পূর্বসংস্কার অর্জন ও সংরক্ষণে সহায়তা করে।
Pettigrew (1958) একটি গবেষণায় দেখতে পান যে, উত্তর আমেরিকার উত্তরাঞ্চলে ও দক্ষিণাঞ্চলের প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে অথবা দক্ষিণ আফ্রিকা ও উত্তর আমেরিকার ছাত্রদের মধ্যে প্রভুত্বব্যঞ্জক ব্যক্তিত্বের পার্থক্য খুব কম। কিন্তু নিগ্রোদের বিপক্ষে মনোভাবের ব্যাপারে তাদের মধ্যে পার্থক্য অনেক বেশি। এই অনুধ্যান এবং আরো বিভিন্ন অনুধ্যানের মাধ্যমে দেখা যায়, সমাজের অনেক ব্যক্তি আছে যাদের সামাজিক মানদণ্ডে নিগ্রোদের প্রতি প্রতিকূল মনোভাব রয়েছে এবং তারা সেই মানদণ্ড গ্রহণ করে, যদিও তাদের ব্যক্তিত্ব প্রভুত্বব্যঞ্জক নয়।
উপসংহার
উপরিউক্ত করণ ছাড়াও জনশ্রুতি, অভিভাবন, আত্মপ্রতারণা, স্বেচ্ছায় বা অনিচ্ছায় কৃত্রিমতার আশ্রয় গ্রহণ এবং যৌক্তিককরণ কুসংস্কার তথা পূর্বসংস্কারের উৎস হিসেবে কাজ করে। কুসংস্কার অনেক ক্ষেত্রে আমাদের অগ্রযাত্রা ব্যহত করে।