ফলপ্রসূ নেতৃত্বের বৈশিষ্ট্য ও কার্যাবলি
সমাজবদ্ধ মানুষের কাছে নেতৃত্ব একটি চিরায়ত ধারণা। নেতার কাজের ওপর একটি দল বা সমাজের লক্ষ্য নির্ভর করে। নেতার কাজের গুরুত্ব রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক, ধর্মীয়, বাণিজ্যিক ইত্যাদি সকল ক্ষেত্রে সমভাবে প্রযোজ্য। একজন সফল নেতাকে বিভিন্ন গুণে গুণান্বিত হতে হয়। নেতা একজন পথপ্রদর্শক ও কর্মীদের সহযোগী ব্যক্তিত্ব। একজন নেতার সদস্যদের প্রভাবিত করার মতো দক্ষতা ও যোগ্যতা থাকতে হয়। নেতৃত্ব হচ্ছে পরিচালনা-কৌশল যা উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য মানুষকে বা কর্মীকে পরিচালনা করে। একজন সফল নেতা দলকে পরিচালনা করার জন্য বহুবিধ' কৌশল অবলম্বন করে থাকে। তাই একজন সফল নেতাকে কিছু গুণাবলির অধিকারী হতে হয়।
একজন উত্তম নেতার বৈশিষ্ট্যসমূহ
নিম্নে একজন উত্তম নেতার বৈশিষ্ট্যাবলি আলোচনা করা হলো:
১. ব্যক্তিত্ব:
উত্তম নেতার অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো তিনি উন্নত ও আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্বের অধিকারী। উন্নত ব্যক্তিত্বের অধিকারী ব্যক্তি সহজে অপরের শ্রদ্ধাভাজন হতে পারে। তাই উত্তম ও উন্নত ব্যক্তিত্ব গঠনের প্রতি নেতাকে মনোযোগ ও গুরুত্ব দিতে হবে।
২. দায়িত্ববোধ:
নেতাকে অবশ্যই দলের এবং নিজের দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে। নিজের দায়িত্বে কখনো অবহেলা করবে না। কর্মীদের পক্ষে দায়িত্ব এড়িয়ে চলা সম্ভব হলেও নেতার পক্ষে দায়িত্ব এড়িয়ে চলা অসম্ভব।
৩. ধৈর্যশীল:
ধৈর্যশীলতা একজন সফল নেতার অন্যতম বৈশিষ্ট্য। উত্তম নেতাকে অসীম ধৈর্যের অধিকারী হতে হবে। উত্তপ্ত, অনাকাঙ্ক্ষিত, অস্থিতিশীল পরিবেশে অত্যন্ত ঠান্ডা মেজাজে সবকিছু মোকাবেলা করার ক্ষমতা রাখতে হবে। এছাড়া বিশৃঙ্খল অবস্থায় নেতাকে ধৈর্যধারণ করতে হবে।
৪. সৃজনশীলতা:
একজন সফল নেতার অন্যতম বৈশিষ্ট্য সৃজনশীলতা। নেতার কাজকর্মে সৃজনশীলতা থাকলে নেতাকে সবাই শ্রদ্ধা করবে। যেকোনো কার্যপরিচালনায় নেতাকে সৃজনশীল প্রতিভা প্রদর্শন করতে হবে।
৫. দলীয় মনোবল বৃদ্ধি:
নেতার দলের সদস্যদের মনোবল বৃদ্ধির করার ক্ষমতা থাকতে হবে। দলের সদস্যদের মনোবল বৃদ্ধি পেলে দলীয় লক্ষ্য অর্জন সহজ হয়। সফল নেতা দলীয় সদস্যদের চাহিদা, সমস্যা, দুর্বলতা ইত্যাদি অনুসন্ধান করে দলের মনোবল চাঙা করে।
৬. আত্মবিশ্বাস:
একজন সফল নেতাকে অবশ্যই আত্মত্মবিশ্বাসী হতে হবে। নেতা আত্মবিশ্বাসী না-হলে কোনো কাজে সফলতা আসবে না। এছাড়া নেতাকে তার অধীনস্থরা অনুকরণ করবে না।
৭. নৈতিক গুণাবলি:
উত্তম নেতাকে নৈতিক গুণাবলির অধিকারী হতে হবে। নৈতিক গুণাবলি বলতে নিয়ম-শৃঙ্খলা, স্পষ্টবাদিতা, আনুগত্য, উদ্যোগ, কর্তব্যনিষ্ঠা, সততা প্রভৃতিকে বোঝায়। উত্তম নেতার মধ্যে উল্লিখিত গুণাবলি অবশ্যই থাকতে হবে। নৈতিক গুণাবলির কারণে অন্যরা তাকে সম্মান করবে।
৮. মানসিক স্বাস্থ্য:
নেতৃত্বের জন্য নেতাকে মানসিক স্বাস্থ্যের অধিকারী হতে হবে। নেতার মানসিক স্বাস্থ্য উন্নত হলে উৎসাহ- উদ্দীপনা, মনোবল, প্রেষণা, সাহসের সাথে যেকোনো পরিস্থিতিতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে পারবেন। নেতার মানসিক স্বাস্থ্য উন্নত হলে দক্ষভাবে প্রশাসনিক কার্যপরিচালনা করতে সক্ষম হবেন।
৯. সাহসী:
উত্তম নেতাকে অবশ্যই সাহসী হতে হবে। সাহসিকতার সাথে সকল পরিস্থিতি মোকাবেলা করার ক্ষমতা ও ইচ্ছা থাকতে হবে। দেশের প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় নেতাকে সাহসী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
১০. পরামর্শদানের সামর্থ্য:
একজন যোগ্য নেতাকে তার অধীনস্থদের পরামর্শ প্রদানে সামর্থ্য থাকতে হবে। নেতাকে যেকোনো পরিস্থিতিতে পরামর্শ প্রদানে উৎসাহিত করতে হবে। তার সঠিক পরামর্শ প্রদানের দক্ষতা থাকতে হবে।
১১. সামাজিক দক্ষতা:
একজন উত্তম নেতাকে সামাজিক দক্ষতা অর্জন করতে হবে। নেতার সমাজের সাথে মিলেমিশে কাজ করার ক্ষমতা থাকতে হবে। দলের সদস্যদের ও সমাজের মানুষের সমস্যা, সবলতা, দুর্বলতা ইত্যাদি বিষয় নেতাকে জানতে হবে।
১২. কারিগরি দক্ষতা:
যোগ্য নেতার কারিগরি সামর্থ্য ও দক্ষতা থাকতে হবে। সামাজিক ও সংগঠন পরিচালনার জন্য যতটুকু দক্ষতার প্রয়োজন, নেতার সেটুকু দক্ষতা থাকতে হবে। নেতার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিগত ধারণা থাকলে কর্মীরা সহজে কাজে ফাঁকি দিতে পারবে না।
১৩. যোগাযোগ নৈপুণ্য:
দলের অন্যান্য সদস্যের সাথে যোগাযোগ করার ক্ষমতা নেতার থাকতে হবে। যোগাযোগের মাধ্যমে নেতা তার আদর্শ, ধ্যান-ধারণা, নীতি-নির্দেশ কর্মীদের নিকট উপস্থাপন করবেন। নিজের চিন্তাভাবনা সহজভাবে অন্যের নিকট উপস্থাপন করার ক্ষমতা নেতার থাকতে হবে।
১৪. সামাজিক নৈপুণ্য:
সমাজ ও সমাজের বিভিন্ন রীতিনীতি সম্পর্কে নেতার জ্ঞান থাকতে হবে। তা না-হলে প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত কর্মীবৃন্দের ভাবাবেগ ইছা-অনিচ্ছা ও আচার-আচরণের সঙ্গে সামঞ্জস্যবিধান রক্ষা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা সম্ভব হয় না। নেতাকে সমাজের মূল্যবোধ ও সংস্কৃতি সম্পর্কে অবগত হতে হবে।
১৫. সমালোচনা গ্রহণের ইচ্ছা:
স্বীয় কাজের সমালোচনা সহ্য করার মতো একজন সফলতম নেতার সামর্থ্য থাকতে হবে। প্রতিটি কর্মী নির্ভয়ে যেন তাদের মতামত প্রকাশ করতে পারে সে ব্যাপারে নেতাকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। কর্মীদেরকে সিদ্ধান্তে ভুল-ত্রুটি সম্পর্কে গঠনমূলক সমালোচনার সুযোগ প্রদান করতে হবে।
একজন উত্তম নেতার কার্যাবলি
বিভিন্ন পরিস্থিতিতে একজন নেতাকে বিভিন্ন ধরনের কার্য সম্পাদন করতে হয়। নিম্নে একজন নেতার কার্যাবলি ভূমিকা আলোচনা করা হলো:
১. দলীয় কার্যাবলির সমন্বয় সাধন:
একজন সফল নেতার অন্যতম প্রধান কাজ হলো দলীয় কার্যাবলির সমন্বয় সাধন করা। নির্বাহীর ভূমিকায় থেকে এ কাজটি তিনি নিজে করতে পারেন অথবা অন্য কোনো সদস্যকে দিয়ে করাতে পারেন। তবে যেভাবেই করা হোক না কেন দলীয় কাজে যাতে কোনো বাধার সৃষ্টি না হয় তা দেখার দায়িত্ব নেতার।
২. পরিকল্পনা প্রণয়ন:
নেতাকে অনেক ক্ষেত্রেই ছোট-বড় নানা রকম পরিকল্পনা প্রণয়ন করতে হয়। দলের লক্ষ্য অর্জন, কর্মপন্থা নির্ধারণ প্রভৃতিকে কেন্দ্র করেই নেতা এসব পরিকল্পনা প্রণয়ন করেন এবং বিচক্ষণতার সাথে সেগুলোর বাস্তব রূপ দান করেন।
৩. দলের লক্ষ্য ও নীতিমালা নির্ধারণ:
দলের লক্ষ্য ও নীতিমালা নির্ধারণ করা নেতার অন্যতম কর্তব্য। এসব লক্ষ্য তিনটি উৎস থেকে নির্ধারিত হতে পারে। প্রথমত, দলের উচ্চ পর্যায় বা কর্তৃপক্ষের নির্দেশে দ্বিতীয়ত, দলের সাধারণ সদস্যদের দাবিতে এবং তৃতীয়ত, নেতার নিজের ধারণা বা অর্পিত ক্ষমতা থেকে। উৎস যাই হোক না কেন নীতিমালা প্রণয়নে নিজস্ব ভূমিকা পালন করা নেতার কার্যাবলির একটি প্রধান দিক।
৪. বিশেষজ্ঞ হিসেবে দায়িত্ব পালন:
ক্ষেত্র বিশেষে নেতাকে দলের বিশেষজ্ঞ হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে হয়। দলের সদস্যদের প্রয়োজনীয় তথ্যাদি নেতাকেই সরবরাহ করতে হয় এবং প্রয়োজনীয় পরামর্শ তাকেই দিতে হয়। কেননা দলের অন্যান্য সদস্য তার কাছেই বিভিন্ন ব্যাপারে পরামর্শ গ্রহণ করতে আসে।
৫. অভ্যন্তরীণ সম্পর্ক নিয়ন্ত্রণ:
নেতার গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো দলের অভ্যন্তরস্থ সকল সদস্যের মধ্যে পারস্পরিক সুসম্পর্ক বজায় রাখা। দলের অভ্যন্তরে বিভিন্ন অংশের মধ্যে সম্পর্ক সুসংহত রাখার জন্য নেতাকে দলের গঠনগত খুঁটিনাটি বিষয় সম্পর্কে জানতে হয়। অন্যথায় দলীয় ঐক্যে ফাটল ধরার আশঙ্কা থাকে। নেতা দলীয় সংহতি রক্ষার জন্য নিজের উদ্যোগে অভ্যন্তরীণ সম্পর্ক নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। তবে দলের কাঠামোগত বৈশিষ্ট্য অনুসারে অভ্যন্তরীণ সম্পর্ক নিয়ন্ত্রণকারী হিসেবে নেতার ভূমিকার তারতম্য পরিলক্ষিত হয়।
৬. প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন:
কোনো দলের সব সদস্যের পক্ষে অন্যান্য দল বা প্রতিষ্ঠানের সব সদস্যের সাথে মুখোমুখি মিলিত হওয়া সম্ভব নয় বলে দলের বাইরে নেতাকেই তার দলের প্রতিনিধিত্ব করতে হয়। নেতাই দলের মুখপাত্র হিসেবে কাজ করেন এবং তার মাধ্যমেই দলের দাবি-দাওয়া ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট উপস্থাপন করা হয়।
৭. সদস্যদের অভিভাবক:
প্রত্যেক সদস্যই তার দলীয় নেতাকে একজন অভিভাবকরূপে গ্রহণ করে। তাই নেতাকে সদস্যদের অভিভাবকরূপে কিছু কিছু দায়িত্ব পালন করতে হয়। যেমন- সদস্যদের নিমন্ত্রণ গ্রহণ করা, তাদের বিপদ-আপদে এগিয়ে আসা ইত্যাদি।
৮. পুরস্কার ও শাস্তি প্রদান:
দলের অভ্যন্তরীণ শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য নেতাকে তার অনুগামীদের প্রয়োজনমতো পুরস্কার শাস্তি প্রদান করতে হয়। এতে দলের প্রতি সদস্যদের আস্থা বাড়ে এবং দলীয় ঐকমত্য গঠনের ক্ষেত্রে অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি হয়।
৯. দক্ষ সংগঠকের ভূমিকা পালন:
একজন সফল নেতা শুধু দলের নেতৃত্বই প্রদান করেন না, দক্ষ সংগঠক হিসেবেও তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। দলের কাঠামো গঠন, কর্মসূচি প্রণয়ন, সদস্য নির্বাচন ইত্যাদি আদর্শ নেতার গুরুত্বপূর্ণ কাজ।
১০. দলের ব্যর্থতার দায়ভার বহন:
অনেক সময় নেতাকেই তার দলের বার্থতার দায়ভার বহন করতে হয়। এ কাজ করে নেতা দলীয় বিশৃঙ্খলা ও অভ্যন্তরীণ কোন্দল দূর করতে সক্ষম হন। এতে নেতার প্রতি সদস্যদের ইতিবাচক মনোভাব সৃষ্টি হয়।
১১. দলীয় সদস্যদেরকে পরিচালনা:
একটি দলে একজন নেতা ও একাধিক সদস্য থাকে। নেতার পরামর্শে সদস্যগণ বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকেন। তাই সদস্যগণকে সুশৃঙ্গলভাবে পরিচালনা করা নেতার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব ও কর্তব্য। নেতা যদি তার এ দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনে ব্যর্থ হন, তবে দলের মধ্যে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিবে।
১২. দলের লক্ষ্য অর্জনে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা:
কোনো বিশেষ লক্ষ্যকে সামনে রেখে একটি দল গঠিত হয় এবং দলের সকলে এ লক্ষ্য পূরণে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করেন। দলীয় প্রধান হিসেবে লক্ষ্য অর্জনে বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণের দায়িত্বটি নেতার উপরই বর্তায়। তাই নেতা শুধু নীতিমালা প্রণয়ন বা গ্রহণের মধ্যে তার কার্যক্রম সীমিত রাখতে পারেন না, তাকে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করতে হয়।
১৩. সময়ের সাথে সংগতি বিধান:
কোনো দলীয় লক্ষ্য পূরণ বা বাস্তবায়নের অন্যতম পূর্বশর্ত সময়ের সাথে সংগতি বিধান। কারণ সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে মানুষের চাহিদা ও ভূমিকারও পরিবর্তন আসে। তাই একজন নেতাকে অবশ্যই সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করতে হবে তবেই লক্ষ্য অর্জিত হবে।
১৪. উদ্ভূত পরিস্থিতিতে উপযুক্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ:
দলীয় প্রধান হিসেবে বিভিন্ন ধরনের সিদ্ধান্ত নেতাকেই নিতে হয়। এসব সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে তিনি অন্যান্য সদস্যগণের পরামর্শ নিয়ে থাকেন। কিন্তু অনেক সময় এমন পরিস্থিতির উদ্ভব হয় যখন অন্যদের পরামর্শ দেওয়ার সুযোগ থাকে না। তাই নেতাকে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে উপযুক্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হয়।
উপসংহার
উপর্যুক্ত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায় যে, উপরে বর্ণিত গুণাবলি একজন সফল নেতার থাকতে হবে। তবে সমাজে বিদ্যমান নেতার মধ্যে উক্ত গুণাবলি দেখা যায় না। এ কারণে তারা সঠিকভাবে দলকে পরিচালনা করতে পারে না। সমাজকে সঠিক পথে পরিচালনা করার জন্য নেতাকে উল্লিখিত যোগ্যতা অর্জন করতে হবে। একজন সফল নেতা অনুসারীদের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখে। তাদের দুঃখ-কষ্ট দূর করার জন্য নেতা নানাবিধ কার্য সম্পাদন করে থাকে। তাই বলা যায় একজন সৎ, দক্ষ, যোগ্য ও প্রগতিশীল নেতাই পারেন একটি দেশ বা প্রতিষ্ঠানের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে।