ক্রিয়াবাদ প্রতিষ্ঠায় উইলিয়াম জেমসের অবদান

উইলিয়াম জেমস ১৮৪২ সালের ১১ জানুয়ারি নিউ ইয়োর্ক শহরে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯ বছর বয়সে ১৮৬১ সালে তিনি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে রসায়নের ছাত্র হিসেবে ভর্তি হন। এরপর তিনি শরীরবিদ্যার উপর আগ্রহী হন এবং medicine-এ পড়াশোনার উদ্যোগ নেন। যার ফলে ১৮৬৪ সালের হার্ভার্ড Medical school-এ ভর্তি হন। জেমস হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসা শাস্ত্রে এমডি ডিগ্রি সম্পন্ন করে উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে নিযুক্ত হন। উইলিয়াম জেমস হার্ভার্ডে শারীরিবিদ্যার পাঠদানের সময় মনোবিজ্ঞানের প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠেন। নিম্নে ক্রিয়াবাদ প্রতিষ্ঠায় উইলিয়াম জেমস-এর অবদান আলোচনা করা হলো-

ক্রিয়াবাদ প্রতিষ্ঠায় উইলিয়াম জেমসের অবদান

প্রথম অনানুষ্ঠানিক গবেষণাগার প্রতিষ্ঠা হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে তৎকালীন সময়ে সুপ্রতিষ্ঠিত গবেষণাগার ছিল না। উইলিয়াম জেমস পরীক্ষণ পরিচালনায় আগ্রহী ছিলেন না বা পরীক্ষণ পরিচালনা করেননি। তথাপি ১৮৭৫ সালে James একটি ছোটো গবেষণাগার প্রতিষ্ঠা করেন। যা তাঁর কোর্সের পড়াশোনার জন্য স্থাপন করেন। তবে তিনি পরীক্ষণের ফলাফল বিশ্লেষণে খুবই আগ্রহী ছিলেন। তিনি অনেকগুলো পরীক্ষণের ফলাফল সুসংবদ্ধ করেন এবং জ্ঞানের শূন্যতা পূরণের জন্য অন্তর্দৃষ্টিমূলক অনুমান তৈরি করেন। তিনি তার প্রতিপাদ্য বিষয়সমূহ সহজ সরল ও সাবলীল ভাষায় উপস্থাপনে পারদর্শী ছিলেন।

হার্ভাডে উইলিয়াম জেমস যখন মনোবিজ্ঞানের প্রতি অধিক আগ্রহী হয়ে ওঠেন তখন ১৮৮৯ সালে তাকে মনোবিজ্ঞানের অধ্যাপক হিসেবে নিযুক্ত করা হয়। এর কিছুদিন পর তিনি দার্শনিক সমস্যা নিয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করেন এবং জীবনের শেষ পর্যন্ত দার্শনিক বিষয় নিয়ে ব্যাপিত থাকেন।

1890 সালে তার বিখ্যাত গ্রন্থ The Principles of psychology প্রকাশ হয়। এই গ্রন্থটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে। তার চিন্তাধারা এতই তীক্ষ্ণ ছিল যে এখন তার রচনাকে আধুনিক বলে মনে হয়। তিনি শুধু মনোবিজ্ঞানকে জনপ্রিয়ভাবে প্রকাশ করেন নি; বরং প্রতিটি লেখায় মৌলিকত্বের ছাপ রেখেছেন।

উইলিয়াম জেমস উন্ড থেকে দশ বছরের ছোটো এবং টিচেনার থেকে বিশ বছরের বড় ছিলেন। তাকে টিচেনার পূর্বসূরি ও উত্তরসূরি বলা হয়। উইলিয়াম জেমস এর ধারণার উৎস ছিল দর্শনশাস্ত্র, তাই তাকে টিচেনারের পূর্বসূরি বলা হয়; আবার তিনি টিচেনারকে অতিক্রম করে গিয়েছেন তাই তাকে টিচেনারর উত্তরসূরি বলা হয়।

১. তিনি বিবর্তনবাদকে মনোবিজ্ঞানের সাথে সংযুক্ত করেন এবং কাঠামোবাদ থেকে ব্যতিক্রমধর্মী ধারণা উপস্থাপন করেন।

২. জেমস দর্শনের প্রয়োগবাদের সূত্র ধরে মনোবিজ্ঞানে ক্রিয়াবাদের উদ্ভব করেন। মানসিক ক্রিয়ায় কার্যকারণ সম্পর্ক, মানসিক ক্রিয়ার নিয়ন্ত্রণ সম্পর্ক এবং পরিবেশের পরিবর্তনের প্রেক্ষিতে আচরণ পর্যবেক্ষণের উপর অধিক জোর দিয়েছেন।

৩. তিনি মনোবিজ্ঞানে ব্যবহৃত গবেষণা-পদ্ধতির প্রসার ঘটান। অন্তর্দর্শন ছাড়াও পরীক্ষণ ও তুলনামূলক পদ্ধতি ব্যবহারে উৎসাহিত করেন।

৪. তিনি মানুষের সব বৈশিষ্ট্য আচরণ, বুদ্ধি, আবেগ, ধর্ম, অভিজ্ঞতাকে মনোবিজ্ঞানের বিষয়বস্তু হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

সমালোচক হিসেবে উইলিয়াম জেমস

উইলিয়াম জেমস ক্রিয়াবাদের প্রতিষ্ঠাতা না-হলেও এ মতবাদের প্রধান নীতিনির্ধারক ছিলেন। উইলিয়াম জেমস সর্বপ্রথম জার্মান মনোবিজ্ঞান তথা কাঠামোবাদের সীমাবদ্ধ দৃষ্টিভঙ্গি, কৃত্রিমতা এবং উদ্দেশ্যহীনতার বিরুদ্ধে কঠোর সমালোচনা করেন। উইলিয়াম জেমস জার্মান মনোবিজ্ঞানীদেরকে প্রিজম, পেন্ডুলাম ও ক্রনোগ্রাফ দার্শনিক বলেও বিদ্রুপ করেন।

জেমসের ইতিবাচক কর্মসূচি উইলিয়াম জেমস মনের আণবিক বিশ্লেষণের এবং উন্ডের অন্তর্দর্শন-পদ্ধতির সমালোচনাই করেননি। বরং তিনি মনোবিজ্ঞানের উন্নতির জন্য কতগুলো ইতিবাচক কর্মসূচি গ্রহণ করেছিলেন। তিনি নিজে কোনো পরীক্ষণ পরিচালনা করেননি। কিন্তু মনোবিজ্ঞানে পরীক্ষণ-পদ্ধতির গুরুত্ব এবং আবশ্যকীয়তার স্বীকৃতি দেন। তিনি প্রয়োগবাদ (Pragmatism)-এর একজন শক্তিশালী প্রবক্তা ছিলেন। প্রয়োগবাদের অনুসারে জ্ঞানের সত্যতা তার ফলাফল দ্বারা নির্ণীত হয়; অর্থাৎ জ্ঞানের যথার্থতা নির্ভর করবে তার ফলাফল, মূল্য এবং কার্যকারিতার উপর। জেমসের মতে, মনোবিজ্ঞানের কার্যকর জ্ঞান আসবে চেতনা, আচরণ ও ব্যক্তিতে ব্যক্তিতে বিভিন্নতার অনুধ্যানের মাধ্যমে। তিনি আবেগ, সহজাত প্রবৃত্তি এবং বুদ্ধিমত্তা অনুধ্যানের উপরও গুরুত্বারোপ করেন। উপর্যুক্ত বিষয়গুলো ছাড়াও অনুধ্যানের বিষয়বস্তু হবে ক্রিয়া এবং পরিবেশের সাথে মানুষের অভিযোজন ও পুনরাভিযোজনের কাজ। জেমস ধারণা করেছিলেন যে, মানুষের আচরণ ও তার মন তাকে বাঁচাতে এবং পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে চলতে সাহায্য করার জন্য উদ্ভূত হয়।

চেতনার প্রবাহ

কাঠামোবাদী ও ক্রিয়াবাদী মনোবিজ্ঞানের পার্থক্য নির্ণয়ের জন্য চেতনা সম্পর্কিত James-এর ধারণা উল্লেখযোগ্য। James-এর চেতনার কিছু বৈশিষ্ট্যের কথা উল্লেখ করেছেন; যথা:

  1. চেতনা হলো ব্যক্তিগত বা ব্যক্তি কেন্দ্রিক। এই ব্যক্তির অভিজ্ঞতার প্রতিফলন এবং এটা মনের সকল সাধারণ উপাদানের মধ্যে সমন্বয় সাধন করে।
  2. চেতনা ধারাবাহিক-নিরবচ্ছিন্ন এবং এটাকে বিশ্লেষণের জন্য বিভক্ত করা সম্ভব নয়।
  3. চেতনা সদা পরিবর্তনশীল। তিনি মনে করতেন জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত চেতনা একটি স্রোতের মতো প্রবাহিত হয়।
  4. চেতনা নির্বাচনধর্মী। বিভিন্ন ঘটনার মধ্য থেকে কয়েকটি ঘটনা কোনো এক সময় নির্বাচন করার ফলে তা চেতনায় থাকে। বাকিগুলি চেতনা থেকে দূরে থাকে।
  5. চেতনা ক্রিয়াধর্মী। এ ধারণা থেকেই ক্রিয়াবাদের জন্ম।

জেমসের মতে, সব ধরনের ধারণা পরিবর্তনশীল রূপে চেতনায় প্রকাশ পায়। প্রাথমিক অবস্থায় সব ধারণাই চেতনার প্রান্তঃসীমায় অবস্থান করে এবং স্থায়ী প্রক্রিয়ায় পরিণত হতেও পারে না-ও হতে পারে। চেতনার কেন্দ্রে প্রবেশ করলে এসব ধারণা স্থায়ী রূপ লাভ করে। প্রান্তীয় ধারণাসমূহের উপর চেতনার অর্থ ও আচরণ অনেকটাই নির্ভর করে।

অভ্যাস ও সহজাত প্রবৃত্তি 

উইলিয়াম জেমস বিশ্বাস করতেন যে সহজাত প্রবৃত্তি ও অভ্যাস উভয়ই মানবাচরণকে পরিচালিত করে। কোনো কাজ বার বার করলে তা অভ্যাসে পরিণত হয়। এ ধরনের পুনরাবৃত্তি এক ধরনের স্নায়বিক পথ তৈরি করে যার ফলে মস্তিষ্ক থেকে শক্তি নির্গম সহজ করে দেয়। প্রায় এভাবেই জেমস অভ্যাস গঠনের স্নায়ুশরীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া বর্ণনা করেন। জেমস বলেন, (১৮৯০) 'Habits makes society possible.' অর্থাৎ, অভ্যাস সমাজ গঠন সম্ভব করে তোলে।

আত্ম

জেমস আত্মকে 'অভিজ্ঞতামূলক আত্ম (Empirical Self) বা ব্যক্তিত্বের আমি (Me of Personality)' হিসেবে উল্লেখ করেছন-এর মধ্যে একজন মানুষের নিজের বলতে যা কিছু আছে তা সবটাই অন্তর্ভুক্ত। অভিজ্ঞতামূলক আত্ম থেকে সামগ্রিকভাবে নিজের সম্পর্কে ধারণা লাভ করা। অভিজ্ঞতামূলক আত্মকে তিনি তিন ভাগে ভাগ করেছেন।

  1. বস্তুগত আত্ম: বস্তুগত যা কিছু রয়েছে তা বস্তুগত আত্ম। ব্যক্তির নিজের দেহও এর অন্তর্ভুক্ত।
  2. সামাজিক আত্ম: এক্ষেত্রে ব্যক্তি তার সামগ্রিক জীবনে যে সকল ক্রিয়া সম্পাদন করে থাকে তার সকল কিছুই সামাজিক আত্ম-এর অন্তর্ভুক্ত।
  3. আধ্যাত্মিক আত্ম: একজন ব্যক্তির ইচ্ছা ও নৈতিক দায়িত্বসমূহের সমন্বয়ে আধ্যাত্মিক আত্ম গঠিত।

আবেগ

উইলিয়াম জেমসের মতে কোনো ঘটনা প্রত্যক্ষণের ফলে আবেগ সৃষ্টি হয় এই ধারণা ঠিক নয়; যেমন : প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী ব্যক্তি বাঘ দেখে ভয় পায় এবং দৌড়ে পালায়। আর জেমসের মতে, ব্যক্তি বাঘ দেখে আগে দৌড়ায় তারপর ভয় পায়। তার মতে, প্রথমে শারীরিক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে, যা পরে আবেগ হিসেবে অনুভূত হয়।

স্বাধীন ইচ্ছা

১৮৬৯ সালে Medical Degree লাভ করার পর তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং তার মধ্যে বিষাদগ্রস্ততা দেখা যায়। তার বিষাদগ্রস্ততার একমাত্র কারণ ছিল তৎকালীন জার্মানের অদৃষ্টবাদ (Fetalism) যার মূল কথা হলো এই বিশ্বে যা কিছু ঘটুক না কেন তা পূর্বে নির্ধারিত ও নিয়ন্ত্রণহীন। জেমস মনে করেন এই তত্ত্ব যদি সঠিক হয় তবে তার ক্ষেত্রেও প্রয়োগ করা হবে।

CharlesBernard Renouvier -এর একটি প্রবন্ধ 'Free will' পড়ে তার জীবনের সবচেয়ে বড়ো পরিবর্তন আসে। আর এই পরিবর্তনের ফলে তার বিষণ্ণতা দূর হয়ে যায় এবং তিনি অধিক কর্মঠ হন। আর এখান থেকেই James-এর Pragmatism-এর ধারণার সূত্রপাত হয়। যার অর্থ হলো-If an idea works, it is valid, অর্থাৎ, যদি কোনো ধারণা কাজ করে, তবে সেটাই যথার্থ। এই অর্থে কোনো ধারণা বিচারের মাপকাঠি হচ্ছে ব্যবহারযোগ্যতা বা প্রায়োগিকতা।

যদিও James স্বাধীন ইচ্ছার ধারণা সম্পর্কের বিতর্কের অবসান করতে পারেনি; অর্থাৎ, তিনি এ সম্পর্কে একটা অবস্থানে এসেছেন। তার মতে, নিয়ন্ত্রণবাদ (determinism)-এর ধারণা ছাড়া বিজ্ঞান হওয়া সম্ভব নয়। নিয়ন্ত্রণবাদ বিশ্বাস করে জাগতিক সবকিছু কার্য-কারণ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। যেহেতু মনোবিজ্ঞান এক ধরনের বিজ্ঞান সেহেতু মনোবিজ্ঞানীদের determinism-এর ধারণায় বিশ্বাসী হতে হবে।

প্রয়োগবাদ

নিজে পরীক্ষণ পরিচালনায় খুব বেশি আগ্রহী না-হলেও মনোবিজ্ঞানে পরীক্ষণ-পদ্ধতির গুরুত্ব এবং আবশ্যকীয়তাকে তিনি স্বীকৃতি দেন। তিনি অবশ্য প্রয়োগবাদ (Pragmatism)-এর একজন শক্তিশালী প্রবক্তা ছিলেন। প্রয়োগবাদের মতে জ্ঞানের সত্যতা তার ফলাফল দ্বারা নির্ণীত হয়; অর্থাৎ, জ্ঞানের যথার্থতা নির্ভর করবে তার ফলাফল, মূল্য এবং কার্যকারিতার উপর। জেমসের মতে, মনোবিজ্ঞানের কার্যকর জ্ঞান আসবে চেতনা, আচরণ ও ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যের গবেষণার মাধ্যমে। তিনি আবেগ, সহজাত প্রবৃত্তি এবং বুদ্ধিমত্তার উপরও অনুধ্যানে গুরুত্বারোপ করেন। 'জেমস চেতন আচরণের প্রায়োগিক সূত্রাবলির আবিষ্কারে অধিক আগ্রহী ছিলেন। তিনি প্রাণী, শিশু, মানুষ, অস্বাভাবিক ব্যক্তি ইত্যাদির উপর গবেষণার জন্য অন্তর্দর্শনে পরীক্ষণ-পদ্ধতিতে ব্যবহারের কথা বলেছেন।

ব্যক্তিত্ব

১৯০৭ সালে James 'Pragmatism' গ্রন্থ প্রকাশ করেন। যেখানে তিনি দুধরনের ব্যক্তিত্বের কথা উল্লেখ করেছেন। 

  • Tender minded: এই ধরনের লোকেরা যুক্তিবাদী, বুদ্ধিমান, আদর্শবাদী, আশাবাদী ও ধার্মিক হয়। 
  • Tough minded: এ ধরনের লোকেরা অভিজাতবাদী, সংবেদনশীল, বস্তুবাদী, হতাশাপ্রবণ, সন্দেহপ্রবণ হয়।

স্নায়ুতন্ত্র

চিকিৎসাশাস্ত্রের প্রশিক্ষণ থেকে জেমস বুঝতে পেরেছিলেন যে মন ও চেতনা স্নায়ুতন্ত্রের প্রক্রিয়ার উপর নির্ভরশীল। তিনি স্নয়ুতন্ত্রকে আচরণ ও মানসিক ক্রিয়ার আবশ্যিক শর্ত (Conditions) হিসেবে গুরুত্ব দিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে আবেগ সম্পর্কে তার তত্ত্ব (James-Lange's theory) স্মরণ করা যেতে পারে। জেমস বলেছিলেন যে শারীরিক পরিবর্তন থেকে সৃষ্ট সংবেদী-তথ্যের প্রত্যাবৃত্তি (Sansory feed back) আবেগীয় প্রতিক্রিয়ার জন্য বিশেষভাবে দায়ী।

উপসংহার

উইলিয়াম জেমসকে ক্রিয়াবাদের প্রতিষ্ঠাতা না-বললেও তাকে আমেরিকান ক্রিয়াবাদী মনোবিজ্ঞানীদের প্রধানতম পূর্বসূরি হিসেবে গণ্য করা হয়। জেমসের ধারণা ক্রিয়াবাদের সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত। অনেকে বিশ্বাস করেন আমেরিকাতে মনোবিজ্ঞান সম্পর্কে সাম্প্রতিক যে ধারণা প্রচলিত তা মূলত জেমসের অবদান।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url