টার্নার সিনড্রোম কি?
মার্কিন বিজ্ঞানী হেনরি টার্নার এই রোগ আবিষ্কার করেন। তিনি ছিলেন একজন হরমোন বিশেষজ্ঞ। ১৯৬৪ সালে এটি যে ক্রোমোজোম-জনিত রোগ তা আবিষ্কৃত হয়। নিম্নে টার্নার সিন্ড্রোম বিস্তারিত আলোচনা করা হলো-
টারনার'স সিনড্রম:
টার্নার সিনড্রোম (TS) বা 45+X, বা 44+XO, হলো একটি বংশগত রোগ যা ক্রোমোজোমের ত্রুটির কারণে হয়ে থাকে। এ ত্রুটি হয় ২৩তম (লিঙ্গনির্ধারক) ক্রোমোজোমে। Thompson গবেষণায় দেখেন যে, এ ধরনের লক্ষণ হাজারে একটি মেয়ে শিশুর মধ্যে দেখা দিতে পারে। এ ধরনের শিশুরা সাধারণত xx ক্রোমোজোমের পরিবর্তে ৪০ ক্রোমোজোম নিয়ে জন্মগ্রহণ করে; অর্থাৎ ২৩তম জোড়ায় একটি x অনুপস্থিত থাকে। এ ধরনের সন্তান মায়ের পেটে থাকাকালীন অবস্থাতেই সাধারণত মায়েদের গর্ভপাত ঘটে। তবে যে শিশু জন্মগ্রহণ করে তাদের যৌনবৈশিষ্ট্য অপরিণত থাকে। এদের প্রাথমিক লক্ষণ হলো-
- হাত-পা, আঙুল, ঘাড় প্রভৃতি স্থানের চামড়া ঝুলে পড়া
- অস্বাভাবিক ছোটো আকৃতির কান ও আঙুল
- বুদ্ধি মোটামুটি থাকলেও গণিত শেখায় অসুবিধা দেখা যায়
- অ্যামেনোরিয়া, অগঠিত স্তন, বন্ধ্যাত্ব দেখা যায়
উপসংহার:
এই রোগের প্রতিকার তেমন নেই। তবে হরমোন থেরাপির মাধ্যমে ও বিভিন্ন ঔষধ প্রয়োগে উপসর্গগুলির অস্থায়ী অপসারণ সম্ভব। বয়ঃসন্ধিকালের আগে এদের হরমোন চিকিৎসা করলে অনেক ক্ষেত্রেই যৌন পরিণমনে উল্লেখযোগ্য উন্নতি লক্ষ করা যায়। টার্নার সিনড্রোম সাধারণত ২০০০ জনের মধ্যে ১ জনের দেখা যায়। আক্রান্তের জীবনকাল সংকীর্ণ হয়।