সাইকিয়াট্রি কি?
অস্বভাবী বা অস্বাভাবিক মনোবিজ্ঞান হলো আধুনিক মনোবিজ্ঞানের সেই শাখা যেখানে মনোবিকৃতির বা অস্বাভাবিক আচরণের কারণ এবং অস্বভাবী আচরণকে কীভাবে চিকিৎসা করা যায় তা নিয়ে আলোচনা করা হয়। অস্বভাবী মনোবিজ্ঞানের সাথে সাইকিয়াট্রি একটি নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। নিম্নে সাইকিয়াট্রি ব্যাখ্যা করা হলো-
সাইকিয়াট্রি:
চিকিৎসা বিজ্ঞানের যে শাখায় রোগ নির্ণয়, চিকিৎসায় শারীরিক লক্ষণ ও চিকিৎসার পাশাপাশি মানসিক, আবেগীয় ও আচরণগত বৈকল্য ও তার চিকিৎসার উপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে থাকে তাকে সাইকিয়াট্রি বা মনোরোগ বিদ্যা বলে। মনোরোগ নির্ণয় ও নিরাময়কে কেন্দ্র করেই চিকিৎসা বিজ্ঞানের এই শাখার উদ্ভব হয়েছে। মূলত প্রথম দিকে সাইকিয়াট্রিস্টরাই মনোরোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের চিকিৎসা করতেন। সাইকিয়াট্রিস্টরা একাডেমিক ধারায় প্রথমে মেডিসিনের উপর ইন্টার্নসহ এমবিবিএস ডিগ্রি অর্জন করেন। এমবিবিএস ডিগ্রির পর সাইকিয়াট্রিতে এমডি ডিগ্রি এর প্রয়োজন হয়। এছাড়াও সাইকিয়াট্রিতে আরোও উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করতে পারে যেমন-ডিপিএম, এফসিপিএস, USMLE প্রভৃতি। বিশ্বের সবচেয়ে কঠিন পরীক্ষাগুলোর একটি হচ্ছে USMLE। এটাতে উচ্চ স্কোর নিয়ে পাস করার পর চার বছর ধরে Residency ট্রেনিং করতে হয়, যার প্রথম দুই বছর যায় বিভিন্ন ওষুধ সম্পর্কে জানতে। এই ডিগ্রিটা দেয় আমেরিকান বোর্ড অফ সাইকিয়াট্রি এ্যান্ড নিউরোলজি। কারণ এটি মনোরোগবিদ্যা এবং স্নায়ুবিদ্যা দুটোর সমন্বয়। সাইকিয়াট্রিস্টরা জটিল ও গুরুতর মানসিক সমস্যা, বাই-পোলার বৈকল্য এবং সিজোফ্রেনিয়ার ইত্যাদির ক্ষেত্রে চিকিৎসা প্রদান পর্যালোচনা করে। সাইকিয়াট্রি রোগ নির্ণয়ের জন্য প্যাথলোজিক্যাল টেস্ট, ব্রেইন ইমেজিং, স্নায়-রাসায়নিক টেস্ট এবং মনোবৈজ্ঞানিক অভীক্ষা প্রভৃতির উপর গুরুত্ব দিয়ে থাকে।
উপসংহার:
সুতরাং বলা যায় যে, সাইকিয়াট্রিস্টরা ঔষধ তথা মেডিসিনার চিকিৎসা ও মনোবৈজ্ঞানিক থেরাপি প্রদানের মাধ্যমে মানসিক রোগীদের চিকিৎসা প্রদান করেন।