গুরুতর মানসিক প্রতিবন্ধি
মানসিক প্রতিবন্ধী বলতে তাদেরকেই বুঝায় যাদের বুদ্ধির মাত্রা তাদের সমবয়সী অধিকাংশ মানুষের চেয়ে কম এবং যারা অন্যের সাহায্য ছাড়া নিজেদের অনেক সমস্যাই সমাধান করতে পারে না। কম বুদ্ধির কারণে তারা পরিবেশ ও পরিস্থিতির সাথে খাপখাইয়ে চলার জন্য উপযোগী আচরণ করতে পারে না। নিম্নে গুরুতর মানসিক প্রতিবন্ধি ব্যক্তিদের স্বাভাবিক জীবন ধারণ ক্ষমতা আলোচনা করা হলো-
গুরুতর মানসিক প্রতিবন্ধি
এসব প্রতিবন্ধি ব্যক্তিদের বুদ্ধ্যঙ্ক ২০ থেকে ৩৫ এর মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে। এদের মধ্যে বিকাশমূলক গুরুতর অস্বাভাবিকতা পরিলক্ষিত হয়। শারীরিক দক্ষতা ও বাক বিকাশ গুরুতরভাবে বাধাগ্রস্ত হয়। গুরুতর প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা উল্লেখযোগ্য চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয় যা তাদের স্বাভাবিক জীবন ধারণের ক্ষমতাকে প্রভাবিত করতে পারে। এটি কেন হতে পারে তার কয়েকটি কারণ এখানে তুলে ধরা হলো:
- অন্যের সহায়তা ব্যতীত এরা নিজেরা নিজেদের যত্ন নিতে পারে না এবং দৈনন্দিন সাধারণ ক্রিয়াকলাপেও এদেরকে অন্যের সাহায্য নিতে হয়।
- গুরুতর বুদ্ধিবৃত্তিক প্রতিবন্ধি ব্যক্তিদের পক্ষে তাদের চাহিদা, চিন্তাভাবনা এবং অনুভূতিগুলি কার্যকরভাবে প্রকাশ করা কঠিন।
- শব্দ উচ্চারণে অস্পষ্টতা থাকে।
- এদের মধ্যে শারীরিক বিকলাঙ্গতা ও ইন্দ্রিয় যন্ত্রের ত্রুটি বিচ্যুতি থাকে।
- গুরুতর বুদ্ধিবৃত্তিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের প্রায়ই সীমিত জ্ঞানীয় ক্ষমতা থাকে, যা তাদের নতুন দক্ষতা শেখার এবং সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতাকে প্রভাবিত করে।
- সম্পর্ক গঠন, সামাজিক সংকেতগুলি বোঝা এবং আবেগগুলি পরিচালনা করা গুরুতর বুদ্ধিবৃত্তিক প্রতিবন্ধি ব্যক্তিদের জন্য চ্যালেঞ্জিং হতে পারে।
উপসংহার:
এদেরকে "পরনির্ভরশীল প্রতিবন্ধী" (depended retarded) বলা হয়। তবে দীর্ঘকালীন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে এদের পরনির্ভরশীলতা আংশিক ভাবে হ্রাস করা যায় এবং এদেরকে অত্যন্ত সরল ধরনের পেশা গ্রহণের উপযোগী করে তোলা যায়। এতদসত্ত্বেও এদেরকে সারাজীবনই কিছুটা অন্যের তত্ত্বাবধানে জীবনযাপন করতে হয়।