গবেষণার উদ্দেশ্য ও লক্ষ্যসমূহ
গবেষণা পদ্ধতি হচ্ছে এমন কতকগুলো কৌশলগত ব্যবস্থা যা উদ্দেশ্যমূলকভাবে ব্যবহার করে নির্দিষ্ট সমস্যা সমাধান বা কোন কার্যের কারণ উদ্ভাবন করা হয়। মানব মনে যেসব বহুমুখী প্রশ্নের উদ্রেক ঘটে তার যথাযথ উত্তর লাভের আকাঙ্ক্ষায় গ্রহণযোগ্য পদ্ধতি অবলম্বনে ধারাবাহিকভাবে অনুসন্ধানের মাধ্যমে লব্ধ তথ্যসমূহকে যাচাই বাছাই করে নতুন জ্ঞান আহরণ করা ও প্রচলিত জ্ঞানের উন্নতি সাধনই গবেষণার কাজ।
গবেষণার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য:
নিম্নে গবেষণার বিজ্ঞানসম্মত লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যসমূহ উল্লেখ করা হলো:
- গবেষণার মূল উদ্দেশ্য হলো বিদ্যমান নানাবিধ সমস্যা এবং মানুষের আচার আচরণ নিয়ে আলোচনা ও ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ।
- বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি প্রয়োগের মাধ্যমে কোনো প্রশ্ন বা জিজ্ঞাসার সঠিক সমাধান অনুসন্ধান।
- বিদ্যমান সমস্যাদি সম্পর্কে নতুন জ্ঞান আহরণ এবং নতুন নতুন তথ্য ও বিষয় সংগ্রহ করা।
- প্রচলিত তত্ত্বকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা।
- পুরোনো তথ্য ও উপাত্তের ভিত্তিতে নতুন কোনো সাধারণ নিয়মে উপনীত হওয়া।
- নতুন তথ্য বা উপাত্তের সাহায্যে অতীত বিষয়াদি বা সিদ্ধান্তসমূহ সম্পর্কে অবগত হওয়া।
- একই ধরনের উপাত্তের সাহায্যে অধিকসংখ্যক সিদ্ধান্ত ও উপসংহারে উপনীত হওয়ার চেষ্টা করা।
- প্রচলিত সমস্যা নির্মূল করা সম্ভব না হলে নিয়ন্ত্রণ আরোপের চেষ্টা করা।
- প্রচলিত জ্ঞানের উন্নতিকল্পে বোধগম্য ও যাচাইযোগ্য নতুন জ্ঞান আহরণে ভূমিকা পালন।
- গবেষণার ক্ষেত্রে বিদ্যমান পরস্পরবিরোধী ধারণা দূর করা।
- সামাজিক গবেষণার উদ্দেশ্য হলো পূর্বানুমান গঠন, প্রত্যয় এবং তত্ত্বের যথার্থতা যাচাই করা।
- সর্বোপরি গবেষণার মাধ্যমে প্রচলিত জ্ঞানের পরিধি বিস্তার করা।
উপসংহার:
গবেষণা হলো নতুন কিছু জানা তথা নতুন সত্য ও জ্ঞান আবিষ্কারের জন্য বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধান প্রক্রিয়া। এটি কোনো সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে পরিচালিত কাঠামোবদ্ধ অনুসন্ধান। যার মূল উদ্দেশ্য হলো সর্বাধিক মানবকল্যাণ সাধন। অর্থাৎ কোনো বিষয়ে নতুন কোনো নিয়মনীতি বা সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া এবং সেই সিদ্ধান্তের সাধারণীকরণই হলো গবেষণার মূল উদ্দেশ্য।