আচরনের বৈকল্য কী?
ব্যক্তি-জীবনে মানুষকে তার নিজের চাওয়া-পাওয়া এবং সমাজ ও পারিপার্শ্বিক অবস্থার সাথে খাপ-খাইয়ে চলতে গিয়ে বিভিন্ন সমস্যায় পড়তে হয়। কখনো কখনো মানবজীবনে এমন অনেক পরিস্থিতির উদ্ভব হতে পারে যা ব্যক্তির কাছে বাঞ্ছনীয় না-ও হতে পারে এবং ব্যক্তি এর সাথে খাপ খাইয়ে চলতে ব্যর্থ হতে পারে। ব্যক্তির জীবনে এরূপ অনকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির উদ্ভব হলে তার আচরণে বিকৃতি ঘটে।
আচরণ-বিকৃতি/ বৈকল্য:
সাধারণ অর্থে আচরণ-বিকৃতি বলতে অস্বাভাবিক আচরণকে বোঝায়। অন্যভাবে বলা যায় যে, আচরণ মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রার গতিরোধ করে এবং পারিবারিক, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয়ভাবে যেসব আচরণ অস্বীকৃত সেসব আচরণকেই আচরণ-বিকৃতি বলা হয়; অর্থাৎ মানুষের স্বাভাবিক আচরণের বিকৃত রূপই হলো আচরণের বিকৃতি। আচরণের বিকৃতি সমাজে অস্বাভাবিক পরিস্থিতির জন্ম দেয়। আচরণ-বিকৃতি সমাজজীবনে মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়। বস্তুত মানুষ বাস্তব পরিস্থিতির সাথে তাল মেলাতে ব্যর্থ হয়ে যে অস্বাভাবিক ও অসংলগ্ন আচরণ করে থাকে তা-ই হলো আচরণ-বিকৃতি।
উপসংহার:
পরিশেষে বলা যায় যে, আচরণ-বৈকল্যের পেছনে বিভিন্ন কারণ রয়েছে। এই সব কারণকে প্রধানত তিনটি শ্রেণিতে ভাগ করা যায়; যথা- শারীরিক, মানসিক ও সমাজ-সাংস্কৃতিক।