একটি ভালো নকশার বৈশিষ্ট্যসমূহ

যেকোনো বিষয়ে বৈজ্ঞানিক গবেষণা পরিচালনা করার জন্য নকশা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নকশা ব্যতীত গবেষণা পরিচালনা করা খুবই কষ্টসাধ্য। গবেষণা করার পূর্বশর্ত হিসেবে নকশা প্রণয়ন এবং তার যথাযথ ব্যবহার করা খুবই প্রয়োজন। যখন একটি সমস্যাকে ঘিরে কোনো গবেষণার প্রয়োজন দেখা দেয় তখন সেই গবেষণা কমিটি কতিপয় ধাপ অতিক্রম করে। এগুলোর মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হলো নকশা।

ভালো নকশার বৈশিষ্ট্য:

১. ভালো নকশাকে প্রত্যক্ষ করলে অতি সহজেই নিরপেক্ষ ও সাপেক্ষ চলের অবস্থান ও অস্তিত্ব বোঝা যাবে। এছাড়া ক্ষতিকর চল হিসেবে পরিচিত শহ্যিক চল ও অভ্যন্তরীণ চলের নিয়ন্ত্রণ কৌশলও সহজেই চোখে পড়বে।

২. একটি ভালো নকশার চেহারা অবশ্যই ছকের মতো হতে হবে। সাধারণ ভাষায় বর্ণনামূলক কোনো অংশ নকমায় থাকা বাঞ্ছনীয় নয়। কারণ এখানে অতি সংক্ষেপে ভাষার ব্যবহার করা হয়।

৩. একটি ভালো নকশা ব্যবহার করে গবেষণা পরিচালনা করার ক্ষেত্রে গবেষণায় অংশগ্রহণকারী পরীক্ষক সম্পর্কেও নকশায় প্রয়োজনীয় তথ্য থাকা আবশ্যক।

৪. নকশার প্রত্যাশিত রূপটি এমন হতে হবে যাতে করে অনুসন্ধানে প্রাপ্ত উপাত্তগুলোকে নকশা অনুযায়ী বিশ্লেণ করে ফলাফল তৈরী করা সম্ভব হয়।

৫. একটি ভালো নকশা এমন হবে যাতে গবেষণার উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য যথাযথভাবে পূরণ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

৬. একটি ভালো নকশা এমন হবে যাতে সমস্ত গবেষণাকর্মটি সংক্ষিপ্তকারে উপস্থাপিত হয়। ফলে গবেষণাটি পরিচালিত হবে নকশাকে ঘিরে।

৭. একটি ভালো নকশা এমন হতে হবে যাতে গবেষণার প্রকল্পটি ধনাত্মক বা ঋণাত্মকভাবে প্রমাণ করার সুযোগ থাকে।

৮. নকশার বড় বৈশিষ্ট্য হলো এর ভুল ও পদ্ধতিগত ভুল। ভালো নকশা এমন হতে হবে যাতে এ ধরনের ভুল হওয়ার আশঙ্কা না থাকে।

উপসংহার: উপরিউক্ত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায় যে, একটি কার্যকর গবেষণা পরিচালনার জন্য একটি ভালো নকশার খুবই প্রয়োজন। তাই একটি সার্থক গবেষণা করতে হলে ভালো নকশার পাশাপাশি একটি ভালো গবেষণা পদ্ধতির সামঞ্জস্য থাকা দরকার। সুতরাং মনোবিজ্ঞানের গবেষণাতে ভালো নকশা ব্যবহার খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url