মনোবিজ্ঞানের অভীক্ষা পদ্ধতি
মনোবিজ্ঞানের অভীক্ষা পদ্ধতি (Test Methods of Psychology)
অভীক্ষা পদ্ধতি মনোবিজ্ঞানের গবেষণার ক্ষেত্রে একটি বিশেষ অবদান। অভীক্ষা পদ্ধতিতে ব্যক্তির আচরণ, বুদ্ধি, ব্যক্তিত্ব প্রবণতা, ঝোঁক ইত্যাদি পরিমাপ করা হয়। এর সাহায্যে মনোবিজ্ঞানীরা কর্মরত বিপুল জনগোষ্ঠীর দৈনন্দিন কাজে বিশেষ ব্যাঘাত সৃষ্টি করে না। অল্প সময়ের মধ্যে প্রচুর উপাত্ত সংগ্রহ করতে পারেন। মনোবিজ্ঞানের গবেষণা ক্ষেত্রে একে একটি বিশেষ পদ্ধতি হিসেবে ব্যবহার করা হয়। গবেষণাগারের কোন বিশেষ যন্ত্রপাতি ব্যবহার না করে এ পদ্ধতি প্রয়োগের মাধ্যমে ব্যক্তির আচরণ বিশ্লেষণ করা যায়। এর সাহায্যে ব্যক্তির বিভিন্ন শারীরিক ও মানসিক বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে বিশেষ জ্ঞান লাভ করা যায়। যেমন কোন ছাত্রের লেখাপড়ার কাজে আশানুরূপ অগ্রগতি সাধিত না হলে প্রথমে বুদ্ধি অভীক্ষার সাহায্যে তার সাধারণ বুদ্ধির পরিমাণ নির্ণয় করা হয়। তারপর যেসব বিষয়ে সে পিছিয়ে পড়েছে সেসব বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে প্রণীত বিশেষ অভীক্ষা যেমন লিখন অভীক্ষা, পঠন অভীক্ষা, অথবা গণিত অভীক্ষা প্রয়োগ করে প্রথমে তার সমস্যাকে চিহ্নিত করা হয়। তারপর সমস্যা দূরীকরণের জন্য তাকে নির্দেশনা অথবা তার পিতামাতা তা অভিভাবকের করণীয় সম্পর্কে পরামর্শ দেয়া হয়। এছাড়াও ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যৎ পেশা। নির্বাচনের জন্য পেশাগত অভীক্ষা অথবা ভবিষ্যতে কোন বিষয়ে সে ভালো করতে পারবে তা নির্ণয়ের জন্য বৈষম্যমূলক প্রবণতা অভীক্ষা (differential aptitude test) প্রয়োগ করা হয়। অনুরূপভাবে ব্যক্তিত্বের বৈশিষ্ট্য পরিমাপের জন্য ব্যক্তিত্বের বিভিন্ন অভীক্ষা প্রয়োগ করা হয়।